সেদিন সকালে সূর্য উঠেছিলো, সেই আলো আমার ঘুম কেড়েছিল। আজও ওঠে সেই একই সূর্য, একই ভাবে ঘুম ভাঙায় আমার। সেদিন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরেছিল, আজও তো একইভাবে ঘুরছে। সেদিন যে গাছের তলায় একা দাঁড়িয়েছিলাম, আজও সেখানে একইভাবে দাঁড়িয়ে আছি। পাশের পুকুরটায় স্পষ্ট আমার ছায়া, একটুও কম্পন নেই জলের। মাছগুলো হয়তো স্তব্ধ আজ। আশেপাশে সবকিছু চলমান, পরিবর্তনশীল। সময় আজ অনেকটা গড়িয়ে গেছে, ক্যালেন্ডারের পাতা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি হয়তো সেই দিনগুলোর। হঠাৎ খেয়াল করলাম আশেপাশের মানুষগুলো কেমন যেন বদলে গেছে, তারা আজ আমার কাছে প্রশ্ন তোলে বদলে যাওয়া নিয়ে। সময় হয়তো ওদের বদলেছে, ওরা বুঝে ওঠেনি, তাই ওদের মনে হয়েছে আমি বদলে গেছি। আমি কিন্তু আজও সেই পুকুরের ধারে গাছের তলাতেই দাঁড়িয়ে আছি আর ভেজা মাটির গন্ধে নিঃশ্বাস ছাড়ছি। ঘড়ির কাঁটা টিক টিক শব্দে এগিয়ে চলেছে।
Sunday, August 21, 2016
Wednesday, August 17, 2016
অতীতের ডাক
একরাশ হতাশা ঘুরে বেড়ায় চোখে,
উড়োজাহাজের ডানায় ভেসে
দূর দেশ থেকে চিঠি আসে,
তোমার বাক্যে মিশে থাকে
কাগজের খামে খসে পড়া কিছু গুঁড়ো শব্দ।
আমি এতো কথা শুনতে চাই না,
ভিখিরির বেশে ঘুরে বেড়াই
তোমার প্রাসাদের আঙিনায়,
তোমার প্রতিটি পদধ্বনিতে
মিশে যায় আমার ভাঙা পাঁজরের শব্দ।
শিশিরের শব্দে ভিজে যায় মন,
শীতের দাপটে কুয়াশা নেমে
ঢেকে দেয় দূরের সমস্ত ফ্ল্যাশ লাইট,
মাঝরাতে ডিজেল ইঞ্জিনের শব্দে
বিছানায় আমি ঘুম ঢাকি।
পিলারের গা বেয়ে উঠে গেছে সবুজ ফার্ন,
জন্ম-মৃত্যু ভুলে দেওয়ালের ফাটল বেয়ে
অশ্বত্থের ডাল খুঁজে বেড়ায় সিলিং ছোঁওয়ার পথ,
আমি সিলিং ছুঁতে পারিনি
তাই মাটির দিকেই তাকিয়ে থাকি।
উড়োজাহাজের ডানায় ভেসে
দূর দেশ থেকে চিঠি আসে,
তোমার বাক্যে মিশে থাকে
কাগজের খামে খসে পড়া কিছু গুঁড়ো শব্দ।
আমি এতো কথা শুনতে চাই না,
ভিখিরির বেশে ঘুরে বেড়াই
তোমার প্রাসাদের আঙিনায়,
তোমার প্রতিটি পদধ্বনিতে
মিশে যায় আমার ভাঙা পাঁজরের শব্দ।
শিশিরের শব্দে ভিজে যায় মন,
শীতের দাপটে কুয়াশা নেমে
ঢেকে দেয় দূরের সমস্ত ফ্ল্যাশ লাইট,
মাঝরাতে ডিজেল ইঞ্জিনের শব্দে
বিছানায় আমি ঘুম ঢাকি।
পিলারের গা বেয়ে উঠে গেছে সবুজ ফার্ন,
জন্ম-মৃত্যু ভুলে দেওয়ালের ফাটল বেয়ে
অশ্বত্থের ডাল খুঁজে বেড়ায় সিলিং ছোঁওয়ার পথ,
আমি সিলিং ছুঁতে পারিনি
তাই মাটির দিকেই তাকিয়ে থাকি।
Tuesday, August 2, 2016
রাতের উষ্ণতা
রাত্রি ঘন হয়, সবদিক শান্ত হয়ে আসে,
পারদের দাগ কাঁচের দেওয়াল বেয়ে
একটু একটু করে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে যায়।
এই ভাল্লুক জ্বর ভীষন তেজী,
নিমেষে এই শরীরকে শান্ত করে দিতে পারে,
জলহাওয়া জানালার কাঁচের বাইরে শরীর ছোঁয়ার অপেক্ষায়।
পাখার ব্লেডের সঙ্গে মাথা প্রতিযোগীতায় নেমে পড়েছে,
সেলফোনের আলো চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে,
বেচারা কলমকে জোর করে নাকখত্ দিতে হয় সাদা কাগজে।
ক্লান্ত শরীর আরো ঝিমিয়ে পরে,
টাচ্ স্ক্রিনে আঙুল ঘষে ফোসকা পরে যাওয়ার ভয় লাগে,
উষ্ণতা ক্রমশ বাড়তে থাকলে চিন্তারা ঘুমিয়ে পড়ে স্থিতিশীল মগজে।
পারদের দাগ কাঁচের দেওয়াল বেয়ে
একটু একটু করে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে যায়।
এই ভাল্লুক জ্বর ভীষন তেজী,
নিমেষে এই শরীরকে শান্ত করে দিতে পারে,
জলহাওয়া জানালার কাঁচের বাইরে শরীর ছোঁয়ার অপেক্ষায়।
পাখার ব্লেডের সঙ্গে মাথা প্রতিযোগীতায় নেমে পড়েছে,
সেলফোনের আলো চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে,
বেচারা কলমকে জোর করে নাকখত্ দিতে হয় সাদা কাগজে।
ক্লান্ত শরীর আরো ঝিমিয়ে পরে,
টাচ্ স্ক্রিনে আঙুল ঘষে ফোসকা পরে যাওয়ার ভয় লাগে,
উষ্ণতা ক্রমশ বাড়তে থাকলে চিন্তারা ঘুমিয়ে পড়ে স্থিতিশীল মগজে।
Subscribe to:
Posts (Atom)