লেখা চুরি? অনেকেই এটা করে থাকেন এবং সেটা আটকানোর জন্য অনেক লেখক লেখার শেষে © চিহ্ন দিয়ে নিজের কপিরাইট বুঝিয়ে থাকেন। এতে হাসি পায় এটা ভেবে যে শুধুমাত্রও একটা চিহ্ন যদি এভাবে লেখাকে সুরক্ষিত করতে পারতো তাহলে এতো বড়ো বড়ো কপিরাইট এজেন্সি থাকতো না পৃথিবীতে।
যাই হোক আসল কথায় আসি, এতো চুরি হয়, এতো লোক লেখা ঝেপে দেয়, তাহলে আমরা কিছু করতে পারি না কেন? কেউ কিচ্ছু করতে পারে না কেন? ওইখানেই আসল মজা। ফেসবুকে আকাউন্ট খোলার সময় শর্তাবলী পড়ে দেখেছেন কোনোদিন? দেখেননি নিশ্চয় তাহলে এভাবে লেখা চুরি নিয়ে চিৎকার করতেন না। ফেসবুকের শর্তাবলীতে পরিষ্কারভাবেই উল্লেখ আছে, আপনি যেই মুহূর্তে কোনও একটি ছবি বা লেখা বা যা কিছু ফেসবুকে পোস্ট করেন সেই মুহূর্তে সেটি আপনার নামে রেজিস্টার তো হয়ে যায় কপিরাইট ওনার হিসেবে কিন্তু সেটা ব্যবহার অনুমতি বা টেকনিক্যালি বলতে গেলে লাইসেন্স আপনি পাবলিক করে দেন, অর্থাৎ যে কেউ সেটি সেভ / ব্যবহার করতে পারে আপনার অনুমতি ছাড়াই, এমনকি সেই পোস্টে কোনোরকম সৌজন্য বোধ বা ক্রেডিট না দিয়েই। ফেসবুক পরিষ্কারভাবে এও বলে দিয়েছেন যদি আপনি মনে করে থাকেন সেই পোস্ট কেবলমাত্র সীমিত কিছু মানুষের জন্যই ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন তাহলে সেই পোস্ট ফেসবুকে না আপলোড করতে। বলি এইসব খবর রাখেন নাকি সারাদিন শুধু চোর চোর বলেই চিৎকার করেন?
লেখা বা ছবি কপিরাইট করার বিভিন্ন এজেন্সি থাকে, যান, গিয়ে টাকা দিয়ে তাদের সাথে রেজিস্ট্রি করান, তাহলে লেখা চুরি গেলে ক্ষতির থেকে লাভই বেশী হবে, কারণ তাতে আপনার পকেটও ভরবে, মনও ভরবে এই ভেবে যে আপনার লেখাও কেউ চুরি করে!