অসুখ

দেহ জুড়ে বিষ বাড়ে ক্রমাগত,

আয়ুরেখা ঢাকে আঙুলের ক্ষত,

ভেজা গায়ে জমে জলরাশি যত,

আমি থেকে গেছি আমারই মতো।

বসন্তের হাসি

আমার দেওয়ালে ভিড় করে জমে ভরা বসন্তের হাসি,

তাই তো তোমায় আমি রোজ ভালবাসতে ভালোবাসি।

মনখারাপ

কপালের ভাঁজে লেখা মন খারাপি রাত,

বোকা হাসি হেসে আজ অল্প চাইবো মাফ,

তুমি কথা দিয়েছিলে বাসবে ভালো আজ,

ডায়েরির পাতা জুড়ে বোবা শব্দের রাজ।

নালিশ

নালিশের ভিড়ে বেড়ে যায় ক্ষত,

রোজ রাতে আমি মরি ব্যক্তিগত।

বাকি কথা

কিছু কথা বলা ছিল বাকি,

আমি রোজ ভুলে যেতে রাজি,

তাই চিৎকার করে জানি লাভ তো নাই।

তবু মনে মনে আজও লিখে রাখি,

জানি সময় এখনও অনেক বাকি,

তাই বলবো ভেবেও রোজ থেমে তো যাই।

হেঁটে গেছি প্রতি অন্ধকারে,

কে যেন আলোর রুমাল নাড়ে,

কালো মেঘ পথ জুড়ে কবিতার ভিড় বাড়ায়।

থেমে যাই অনেক বদ্ধ ঘরে,

রাত ভেঙে বেশ কিছু শব্দ ঝড়ে,

কবিতার শেষ লাইন আজও এখানেই থমকে যায়।

ফেরার পথে

তোমার ফিরে যাওয়ায় সমস্ত শব্দ চাপা পড়েছিল জানালার কাঁচে,

পথগুলো বসন্তকে আহ্বান করেছিলো সেই রাতে, তবু সে আসেনি,

আজ একটিবার অনুভব করে দেখো আমার দেওয়ালের প্রতিটি ভাঁজে,

সবাই কেঁদেছিল সেই রাতে, শুধু সবার সামনে চোখগুলো জলে ভাসেনি।

প্রেমের সাক্ষ

কোনো এক শীতের রাতে অভিমানী আকাশের নীচে শুধু একটিমাত্র বার জড়িয়ে ধরতে দিও তোমায়। আমি চাই ছায়াপথে উপস্থিত প্রত্যেকটি নক্ষত্র অনন্তকাল যাবৎ বয়ে বেড়াক আমাদের ভালোবাসার সাক্ষ।

ভেজা বসন্ত

এই ভাঙা চোরা গলি শহরের মোড়ে,

ভিজে গেছে রাত প্রেমিকার ভোরে,

বয়ে আসে চিঠি কোকিলের কোলে,

বসন্ত এসেছিলো শেষ মোঘল আমলে।