আজও মাথায় এলোমেলো ভাবে
অনেক শব্দ ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু তাদের স্থান দিতে পারি না আমার লেখায়। তাদেরকে
সযত্নে ভিতরেই রেখে দিতে হয় অপ্রকাশিত রুপেই। আমি শুনতে পাই তাদের বাইরে আসার
আর্তনাদ। ঘুমন্ত রাতের অন্ধকারে তাদের বেদনা অনুভব করি ভেজা বালিশের আড়ালে। বুকে
হাত দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারিনা হালকা ব্যাথার শিরশিরানিকে। ভিতরটা কেমন ভারী হয়ে
ওঠে। এইভাবেই হঠাত কিভাবে ভ্রমনে চলে যাই ঘুমের দেশে আর সকালে আমাকে মুক্তি দিতে
বেজে ওঠে সেলফোনের রিঙ্গার। অ্যালার্মটা আগের রাতের দুঃস্বপ্নগুলোকে ভেঙে দিয়ে আহত
হয়ে পরা মনটাকে নতুনভাবে সতেজ করে তোলে পুনরায় যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। যুদ্ধের শেষে
আবার নেমে আসে এক অজানা রাত্রি একঝাক নতুন শব্দের আঘাত নিয়ে।
Friday, February 27, 2015
Saturday, February 21, 2015
আ মরি বাংলা ভাষা
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।..."
আজ ২১-শে ফেব্রুয়ারী, আবার সবাই লাফাবেন "আমি গর্বিত কারন আমার মাতৃভাষা বাংলা..." আচ্ছা তখন যদি কেউ আপনাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বসে "তাতে আপনি গর্বিত কেন?..." তখন আপনি কি উত্তর দেবেন?
অনেককেই দেখেছি ২১-শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবসে এই ধরনের স্লোগান দিয়ে নিজেকে কি গর্বিতই নাহ মনে করেন কিন্তু যেমনটি প্রশ্ন করা তো অমনি, হয় উত্তর দিতে না পেরে মাথা নিছু করে কেটে পরেন কিংবা যিনি প্রশ্ন করেন তাকে আলফাল ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবু গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে ছাড়বেন না। আরে বাবা বাংলা ভাষার অনেক ইতিহাস আছে, সেগুলো নিয়ে নিশ্চয় গর্ব করবেন কিন্তু তার আগে একবার সেই ইতিহাসগুলো জেনে নেওয়া ভালো কিনা! তাহলে আপনিও বাঁচবেন আর যিনি প্রশ্ন করবেন তিনিও উত্তর পাবেন।
এবার আমি একটা অপ্রিয় সত্যি আবিষ্কার করি?! এই যে এতক্ষণ ধরে আপনারা আমার লেখাটা পড়লেন, ভাবলেন ২১-শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে কত কিছুই নাহ লিখলাম আমি! এবার নিশ্চয় আপনারা এই ২১-শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে কাউকে কিছু বলার আগে সব কিছু জেনে তবেই বলবেন! তবুও আপনারা একটা বড় ভুল করবেনই আমি জানি। ভুলটা হল এতো বাংলা নিয়ে আজ গর্ব করার সত্তেও ভুলেও একবারের জন্যও বলবেন না আজ ৯-ই ফাল্গুন, আপনারা সেই ইংরাজি ভাষার ২১-শে ফেব্রুয়ারীটাকেই উচ্চারণ করবেন। কি, ঠিক বললাম তো?
ছবি - ইন্টারনেট সংস্থা গুগল
আজ ২১-শে ফেব্রুয়ারী, আবার সবাই লাফাবেন "আমি গর্বিত কারন আমার মাতৃভাষা বাংলা..." আচ্ছা তখন যদি কেউ আপনাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বসে "তাতে আপনি গর্বিত কেন?..." তখন আপনি কি উত্তর দেবেন?
অনেককেই দেখেছি ২১-শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবসে এই ধরনের স্লোগান দিয়ে নিজেকে কি গর্বিতই নাহ মনে করেন কিন্তু যেমনটি প্রশ্ন করা তো অমনি, হয় উত্তর দিতে না পেরে মাথা নিছু করে কেটে পরেন কিংবা যিনি প্রশ্ন করেন তাকে আলফাল ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবু গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে ছাড়বেন না। আরে বাবা বাংলা ভাষার অনেক ইতিহাস আছে, সেগুলো নিয়ে নিশ্চয় গর্ব করবেন কিন্তু তার আগে একবার সেই ইতিহাসগুলো জেনে নেওয়া ভালো কিনা! তাহলে আপনিও বাঁচবেন আর যিনি প্রশ্ন করবেন তিনিও উত্তর পাবেন।
এবার আমি একটা অপ্রিয় সত্যি আবিষ্কার করি?! এই যে এতক্ষণ ধরে আপনারা আমার লেখাটা পড়লেন, ভাবলেন ২১-শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে কত কিছুই নাহ লিখলাম আমি! এবার নিশ্চয় আপনারা এই ২১-শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে কাউকে কিছু বলার আগে সব কিছু জেনে তবেই বলবেন! তবুও আপনারা একটা বড় ভুল করবেনই আমি জানি। ভুলটা হল এতো বাংলা নিয়ে আজ গর্ব করার সত্তেও ভুলেও একবারের জন্যও বলবেন না আজ ৯-ই ফাল্গুন, আপনারা সেই ইংরাজি ভাষার ২১-শে ফেব্রুয়ারীটাকেই উচ্চারণ করবেন। কি, ঠিক বললাম তো?
ছবি - ইন্টারনেট সংস্থা গুগল
Wednesday, February 18, 2015
Sunday, February 15, 2015
Friday, February 6, 2015
বন্দি কারাগার
গল্পের
নামটা বেশ অদ্ভুত লাগছে তাই না? বন্দি আবার
কারাগার! কারাগার তো বন্দিই হয়, তাহলে দুটো কথা
আলাদা করে লেখার কি দরকার! আসলে কারাগার মানেই তা বন্দি নয় আমার কাছে। সাধারানত
সবাই যেটা ভাবেন যে কারাগার মানেই জেলখানা। আমরা প্রতিনিয়তই
কিন্তু কারাগারেই বাস করছি। সেটা আসলে
আমাদের বাড়ি, আর এটা কিন্তু বন্দি কারাগারই বটে। কারন এখানে আপনাকে
পরিবারের কাছে বন্দিদশাতেই থাকতে হয়।
ভাবছেন
কি বলছি কিছুই মাথায় ঢুকছে না, তাই তো?
আসলে ব্যাপারটা হল আমরা যখন বাড়িতে
থাকি তখন বাড়ির লোকের আদেশ অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হয়,
তা আসলে বন্দি থাকার থেকে কম কিছু নয়।
যাকগে, এসব না বলে এবার
নিজের কথায় আসি। আমি এখন একজন ছাত্র। আমার সামনে এখন PARABOLA
–র মতো হাত
বাড়িয়ে দুটো পথ খোলা আছে, যেদিকে ইচ্ছা
আমি যেতে পারি। এই পথের নেই কোনো শেষ। কিন্তু প্রথাগত ভাবে একটা সঠিক আর অন্যটা
বেঠিক। তাই সঠিক পথটাই আমাকে বেছে নিতে হবে। কিন্তু কোনটা সঠিক! বহু বছর আগে কেউ
একজন বলে দিয়ে গেছে অমুক পথটা সঠিক। তাই সবাই এখন ওই পথটাকেই অনুসরন করো। সেটা কি
আদৌ নিজেই জানেনা কেউ। শীতের দুপুরে স্কুল কামাই করে যদি একটু হাল্কা রোদ্দুরে
গায়ে মাখি তাহলে সেটা আমাদের অন্যায়, কিংবা
সন্ধের পড়া কামাই করে বন্ধুদের সঙ্গে একটু হাল্কা আড্ডা আর ইয়ার্কি করা টাও হল
অন্যায়। শৈশব জিনিসটা ঠিক কি সেটা বুঝে ওঠার আগেই আমরা পা রাখছি প্রতিদিনের
ব্যাস্ত জীবনে। যেখানে পরে আছে শুধু পড়াশোনা, স্বার্থপরতা
এবং প্রতি মুহূর্তে একে অপরকে ল্যাং মারার কম্পিটিশন। সেটাই হল এই সমাজের চোখে আজ
সঠিক পথ। অর্থাৎ আমরা প্রতি মুহূর্তে কি করবো আর কি করবনা সেটা আমাদের এই সমাজই
ঠিক করে দেবে! এটা কি কোনো কারাগারে কাটানো জীবনের থেকে কম!
এবার
বলা যাক বন্দি কেন আমরা? মনে করুন আমি
একবার খুব পড়াশোনা করে দারুন রেজাল্ট করলাম। ব্যাস! এটাই আমার জীবনের সব থেকে বড়
ভুল। এবার আমি সবার চোখে বন্দি। সবাই এবার আমার উপর নজরদারি চালাবে নেক্সট
পরীক্ষায় কেমন রেজাল্ট করি তার উপর। এবার দেখছি ভালো রেজাল্ট করেও বিপদ! তার থেকে
বাবা খারাপ রেজাল্ট করাটাই শ্রেয়। কেউ অন্তত ভালো রেজাল্ট আশা করে সর্বদা কানের
কাছে কথা শোনাবে না দিনরাত। অর্থাৎ আমাদের মতো অনেক ছাত্রই চাইলেই ভালো রেজাল্ট
করতে পারে কিন্তু পারিপার্শ্বিক চাপের জন্য তার এই ইচ্ছাশক্তিটার মৃত্যু ঘটে সবার
অজান্তেই! তারা তখন খারাপ রেজাল্ট করেই সবার থেকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর
এটাই হল আমাদের বন্দি জীবন। তাই লেখাটার নাম রাখলাম "বন্দি কারাগার"।
ছবি – আকাশ ব্যানার্জী
Thursday, February 5, 2015
কালচারাল কবি
আচ্ছা কবি কি? যিনি কবিতা লেখেন তিনিই হলেন
কবি। এখন যদি আপনাকে আমি বলি একজন কবির ছবি আঁকুন তো দেখি! আপনি কি করবেন আমার
জানা আছে। এমন একজনের ছবি আঁকবেন যার মুখ দেখে মনে হবে ক্যাবলাকান্ত নামের কোনো
জাতির মানুষ হয়তো ইনি, মুখময় ভর্তি দাড়িগোঁফ, মাথার চুল দেখে মনে হবে কেউ যেন
খড়কুটো মাথার উপর চাপিয়ে রেখে চলে গেছে, চোখে হরলিক্সের কাঁচের মতো চশমা, পরনে
একটা সাদামাঠা পাঞ্জাবি তার উপর জড়ানো একটা চাদর। এই আর কি! আচ্ছা কবি হতে গেলে
বুঝি এরকম হয়ে থাকতে হয়! সাধারণ জিন্স সার্ট পরে থাকলে বুঝি কবি হওয়া যায় না!
আমারই এক প্রিয় কবি খুব ভালো কবিতা-উপন্যাস লেখেন, কই তাকে তো দেখিনি এরকম ভাবে
সেজে ঘুরে বেড়াতে! তাহলে বোধহয় উনি ঠিক কালচারাল কবি নয় আপনাদের মতে। যদিও
রবীন্দ্রনাথের মতো কবির পোশাক-আশাক আপনাদের কল্পনার সঙ্গে একেবারেই মিলে যায়, আবার
অন্যদিকে রুপম ইসলাম, অনুপম রায় এনাদের পোশাকের সঙ্গে আপনাদের কল্পনার কোনো মিলই
খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে পোশাক ব্যাপারটা কারোর মানসিক চিন্তাধারার দর্পণ হলেও,
সময়ের সঙ্গেও তার পরিবর্তন লক্ষণীয়। তাই এসব কথা মাথায় রেখেই, কবি হতে গেলে যে
শুধু লেখালেখির হাতটা ভালো থাকলেই যথেষ্ট সেটা মনে করাতেই আমার এই লেখাটি। তাই
কবিদের কিন্তু আর ক্যাবলাকান্ত জাতির অন্তর্ভুক্ত করবেন না প্লিজ। কবি কবিই, তা সে
জিন্স-সার্ট পরে থাক কিংবা পাঞ্জাবি।
ছবি - ইন্টারনেট সংস্থা গুগল
ছবি - ইন্টারনেট সংস্থা গুগল
Subscribe to:
Posts (Atom)