নিজেকে চিনতে গিয়ে থমকে উঠি হঠাৎ, যেন কতকাল দেখা হয়নি নিজের সঙ্গে। বাক্য বিশেষ ক্ষয় হয়নি এ যাত্রায়, সেই সুবাদে স্বস্তি কিছুটা। আমরা ভুলে যাই কতো মানুষের সঙ্গে আমাদের শেষবার দেখা হয়ে গিয়েছে, সে হিসেব কি রাখি আদৌ? ফোনে কিংবা মেসেজে কতো বাক্য ছোড়াছুঁড়ি, কিন্তু সামনে থেকে দেখা আদৌ কোনোদিন হবে না। সময়ের কাঁটায় সবাই আমরা চলমান সিঁড়ির মতো উপরে উঠে চলেছি, আর একটু উঠলেই অদৃশ্য কোঠরে মিলিয়ে যাওয়ার নিয়ম। কেউ ফিরে তাকায় না, কেউ ফিরে আসে না এ চক্রব্যূহে। যতটা সামলে চলতে থাকি, তার অর্ধেকই বিপদসীমায় হাঁটি আমরা। কেউ জানে না কবে অবশেষ, তবুও সবাই ছুটছি। নিরন্তর এক ঘূর্ণি আমাদের গিলে ফেলছে প্রতিদিন, এরই মাঝে আমরা মনের কাছাকাছি কাউকে পেতে চাই। ভুলে যাই বারবার যে, এ জগতের মায়ায় কেউই কারোর না, সবাই নিজের মতো। প্রয়োজন ফুরোলে সবাই দূরবীনের ক্ষমতার বাইরে মিলিয়ে যায়, তবুও আমরা মিথ্যে মায়ায় জড়িয়ে পড়ি, হাবুডুবু খেয়ে বেঁচে থাকি এক অদৃশ্য ভাঁটার টানে। এখানেই আমাদের জন্ম আর মৃত্যুর মাঝের সময়টুকু কাটিয়ে উঠি, কি লেখা আছে পরবর্তীতে সে প্রশ্নে বিশাল বিশাল দাঁড়ি টেনে এগিয়ে যাই নিজেই। এভাবেও ভুলে থাকা যায়, এভাবেও হাত কেঁপে টাইপিং করা যায়। আসলে বালির ঘড়ি সময় মেপে রাখে, আমরা কেবল আলগা বালির শরীরে বয়ে যাই তার স্রোতে। বালির শেষ কণায় লেখা থাকে আমাদের সমস্ত ইতিহাস আর সময়ের গল্প।
No comments:
Post a Comment