Wednesday, May 30, 2018

Don't Cross My Road

অনিমেশ আমার ভীষণ ভালো বন্ধু, একসাথে রোজই সন্ধ্যায় মাঠে আড্ডা দিই বেশ রাত অব্ধি। কত কথা জানে ও, ভীষণ সাহসী ছেলে... ভূতুরে কোনও ব্যাপারে অথবা হন্টেড প্লেসে যেতে হলে এক পায়ে রাজি। আর যাই হোক ও আমার মতো ভীতু নয়, অন্ধকারে নিজের ছায়া দেখেই মুখ ফেরাই... সেটা ও বেশ ভালো মতোই জানে। অনেক বিষয়ে অনেক মজা করলেও এসব নিয়ে কখনও তাই আমার সাথে মজা করে না। যাই হোক, থাক সেসব কথা...। এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় দক্ষিণা হাওয়ার কোলে হেলান দিয়ে আমরা মাঠের মাঝে আড্ডা দিচ্ছি। সবে এক ঘণ্টা হয়েছে।"চল, এবার ওঠা যাক", বলে অনিমেশ উঠে দাঁড়ালো মাঠের আড্ডা থেকে।
"কিন্তু এখন তো সবে সাতটা বাজে... এতো তাড়াতাড়ি... কোথায়..." জিজ্ঞেস করলাম।
কথা শেষ করার আগেই অনিমেশ বলল "একটা জায়গায় যাবো... তুই যাবি?"
এমনিতেই কোনও কাজ নেই, এখন বাড়ি যেতেও ভালো লাগছে না... বললাম "চল যাই... এমনিতেও তো কিছু কাজ নেই এখন।"
আমিও উঠে দাঁড়ালাম, অনিমেশ মাঠের পাশের রাস্তার দিকে ইশারা করে বলল "চল হাঁটা লাগা..."। আমি জিজ্ঞেস করলাম "কোথায় যাবি তো বল এই সন্ধে বেলায়, মাঠের পাশে রাস্তাটা শুনেছি ভালো না..."
অনিমেশ আবার কথা থামিয়ে বলে উঠলো "চল না, এই কাছেই..."
আমি কথা না বাড়িয়ে চললাম, একটু একটু করে এগিয়েই চলেছি... মাঠের পাশের বাঁশবাগান পেড়িয়ে অনেকটা দূরে চলে এসেছি... ওই দূরে দেখা যায় হাইরোডে আলো জ্বেলে ভীষণ বেগে বেড়িয়ে যাচ্ছে লরিগুলো আর হাওয়ার "ভোঁওওওওও...ভোঁওওওওও..." শব্দ ভেসে আসছে। অনিমেশ ওদিকে হাত দেখিয়ে বলল "চল ওদিক থেকে ঘুরে আসি..."
কেমন একটা খটকা লাগলো, ওকে বললাম "ওখানে কি আছে? হাইরোডের ধারে ওই জায়গাটা বেশ শুনশান... দোকান-পাট কিছুই নেই... ওদিকে গিয়ে..." আবার কথা থামিয়ে বলল "ধুর্‌, চল না, গেলেই দেখতে পাবি..." আমি বোবার মতো মুখ বন্ধ করে চললাম। অনেকটা কাছে এসে গেছি, এখান থেকে মাত্র কয়েক পা এগোলেই হাইরোড, একটা ফাঁকা জায়গায় গিয়ে অনিমেশ বলল "নে বস্‌ এখানে, আমার একটা কাজ আছে মিটিয়ে আসি..."
আমি বললাম, "কি কাজ রে এই নির্জন এলাকায়, যাই না!"
অনিমেশ বিরক্তির ভঙ্গিতে বলল "বস্‌ না চুপ করে, বেকার গিয়ে কি করবি... আমি আসছি একটু পরেই।"
অগত্যা বসে রইলাম একা। অমাবস্যার রাত, আকাশে চাঁদ নেই তাই আলো ক্ষীণ। স্ট্রীট লাইটের হলুদে-লাল আভায় মাথার উপর আকাশ একেবারে স্নান করে বসে আছে। আর সেই আভায় গা ঢাকা দিয়ে জেগে রাত পাহারা দিচ্ছে অজস্র তারা। পাশেই একটা ছোট তেঁতুল গাছের সমস্ত শরীর আলোয় মুড়ে দিয়েছে জোনাকির দল। দক্ষিণা হাওয়া যখন বইছে কেমন নড়ে চড়ে উঠছে এই জোনাকির দল দিয়ে আবার কেমন এলোমেলো হয়ে সেই গাছের পাতায় গিয়ে বসছে। এই হাওয়ায় বেশ আলস্য জাগছে শরীরে, মনে হচ্ছে এই ফাঁকা মাঠেই শুয়ে থাকি আকাশের দিকে চোখ রেখে, যদি একটা দুটো তারা খসে পরে তো কিছু ইচ্ছে পূরণ হতে পারে। বেশ খানিকক্ষণ কেটে গেলো, অনিমেশ আর আসে না। কি জানি কি কাজে আটকে পড়েছে, আমার বেশ ভালোই লাগলে। কেমন একটা নস্টালজিয়া ভাব জাগছে মনের ভিতর। কত পুরনো কথা মনে পরে যাচ্ছে, কলেজ লাইফের না হওয়া প্রেম, প্রাক্তন প্রেমিকার অভিমান, আরও কত সব কথা...। এই নস্টালজিয়া থেকেই কখনও বা একটা ফ্রিকশানও সৃষ্টি হচ্ছে মনের ভিতর। মনে হচ্ছে ওই দূরে আকাশের কোলে তারাদের ভিতরেও যেন অন্য আরেক নক্ষত্রজগৎ আছে। সেখানে আমারই মতো কোনও মানুষ হয়তো বসে আছে আর একভাবে তাকিয়ে আমার মনের গল্পগুলো সব পড়ে ফেলছে। অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করছে কোনও একদিন সেই ভিনগ্রহী মানুষের সাথে দেখা করার। হয়তো বা সেও আমারই মতো ভাবছে ভিন গ্রহে বসে, হয়তো বা সে জানেই না আমি এখানে তার অপেক্ষা করছি, এরকম কত চিন্তা মাথায় ঘুরছে। এক অন্যরকম অনুভূতি, যার কোনও লজিক নেই, শুধু আবেগ আছে। মনে হচ্ছে যদি গান লিখতে পারতাম, এই রাতেই হয়তো দু-তিনটে গান আর গোটা চারেক কবিতা নামিয়ে ফেলতাম, কিন্তু আমি তো সেসব কিছুই পারি না। কেমন এক অদৃশ্য নেশায় মগ্ন হয়ে আছি। হঠাৎ গায়ে একটা ঠেলা দিয়ে "কিরে! বাড়ি যাবি না? রাত হল তো!"
"কে? ওহ! অনিমেশ তুই..." চমকে উঠলাম। "হ্যাঁ যাবো তো, তুই-ই তো কোথায় চলে গেলি এক্ষুনি আসছি বলে।" বলে ঘড়ির দিকে তাকালাম। "হ্যাঁ! এর মধ্যে সাড়ে ন'টা বেজে গেলো... চল চল তাড়াতাড়ি চল..."
আমি একাই বকে গেলাম, অনিমেশ চুপচাপ হাঁ করে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। আলস্য ভাঙিয়ে উঠতে একটু আস্তেই উঠছি, এবার অনিমেশ মুখ খুললো "তাড়াতাড়ি চল, অনেক কাজ..." বলেই আমাকে হাতটা ধরে তুলল। যে পথে এসেছি সেই পথেই ফিরবো, হাঁটা শুরু করার আগে অনিমেশ আমাকে একবার থামালো। অদূরে হাইরোডের দিকে হাত দেখিয়ে বলল "ওই যে দেখছিস ওখানে রেলিংটা ভাঙা মতো, কোনোদিন সন্ধ্যাবেলা ওখানে রাস্তা ক্রস করবি না...।" আমি জিজ্ঞেস করতে যাবো "হঠাৎ এরকম অদ্ভুত কথা বলছিস কেন রে..."। অনিমেশ রেগে গিয়ে বলল "যেটা বলছি সেটা শোন, মেলা কথা বাড়াস না... গতকাল আমাকে এক বন্ধু বলেছিল এই কথাটা। তোর ভালো চাই তাই তোকেও বললাম, কেন কি বৃত্তান্ত অতো জানি না ভাই..."। ঠিক হ্যায়, আমি এমনিতেই ভীতু মানুষ, কি বলতে কি গল্প শুনিয়ে দেবে এখুনি তারপর আবার ভয়ে বাঁশবাগানের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবো না, একেই অমাবস্যার রাত। হাঁটা লাগালাম আমি আর অনিমেশ। অবশেষে আবার মাঠে গিয়ে পৌঁছলাম। আমার আর অনিমেশের বাড়ি দুই প্রান্তে, অতএব এবার রাস্তা বদল। অনিমেশ অন্যদিকে চলে গেলো, আমি আমার বাড়ির রাস্তা ধরে হাঁটতে লাগলাম। যাওয়ার আগে বলে গেলো, "যেটা বললাম মনে থাকে যেন... আর হ্যাঁ, কাল তো তোর চাকরির ইন্টার্ভিউ আছে। অল দ্য বেষ্ট।"। "থ্যাঙ্কস" বলে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে শুয়ে পড়লাম। কেমন একটা অস্বস্তি কাজ করছে মনের ভিতর, কেন জানি না। পরেরদিন সকালে উঠে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম চাকরির পরীক্ষা দিতে। যাওয়ার পথে ষ্টেশন থেকে একটা খবরের কাগজ কিনে ব্যাগে ভরে নিলাম। নির্দিষ্ট সেন্টারে পৌঁছে মনে হল ইন্টার্ভিউতে তো আবার মাঝে মাঝে কারেন্ট আফ্যেয়ার নিয়ে প্রশ্ন করে তাই কাগজটা একটু দেখে নিই এবার। কোনোক্রমে প্রথম পাতাটা খুলতে যাবো, আমার ডাক এলো ভিতর থেকে। কাগজটা ব্যাগে ঢুকিয়ে ভিতরে গেলাম। ইন্তারভিউয়ার প্রশ্ন করলেন, আমিও ঝটপট উত্তর দিয়ে বেশ ভালো মতো ক্র্যাক করলাম ইন্টার্ভিউটা। ভাগ্যক্রমে কারেন্ট আফ্যেয়ার নিয়ে সেভাবে কিছু ধরে নি, ওই কদিন আগে একটা রাজনৈতিক ঝামেলার উপর প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলো মাত্র। বড্ড ক্লান্ত লাগছে শরীরটা, পাশেই একটা চায়ের দোকানে গিয়ে চা খাচ্ছি। পাশেই টেবিলের উপর রাখা বাংলা-ইংরেজি খবরের কাগজ, চায়ের কাপটা নামিয়ে রেখে ইংরেজি কাগজটা হাতে নিতেই একটা ধাক্কা। প্রথম পাতায় বড়ো বড়ো অক্ষরে ছাপানো অনিমেশের মৃত্যুর খবর। স্থানঃ- কাল রাতের সেই হাইরোডের বুকে রেলিং ভাঙা জায়গাটা, সময়ঃ- গতকাল রাত সাড়ে আটটার আসেপাশে। কেমন যেন শিউড়ে উঠলাম, এই প্রচণ্ড গরমেও একটা ঠাণ্ডা স্রোত। সাব-হেডিং-এ মাঝারি হরফে লেখা "Don't Cross my road".

Tuesday, May 29, 2018

ঋণ

আমি কি কিছু দিতে পারি তোমায়?
একটা ভাঙা সন্ধ্যা পাখিদের ডানায়
যেখানে রোদ্দুর খেলে ধুলোর কণায়
আর স্বপ্নেরা জমে চোখের কোণায়।

Monday, May 28, 2018

তোমার খোঁজে

হে নূতন তুমি প্রবীণ ছায়ায়
বাস করো আজই এ দরবেশে,
যেখানে তোমার নীরব মায়ায়
জ্বলে সন্ধ্যার আলো এ আঁধার দেশে।
সেখানে আমার মনের আলাপ
হাতে একতারা গানে প্রানের নয়ন,
প্রেমের স্পর্শে ভোরে মুছিল গোলাপ
আবেগ চিঠি এ মনে শয্যায় শয়ন।
জানি তুমি আজ ধরা দেবে না
সে কবিতার খাতা তোমার নামে,
এ বুকে তবুও ভালোবাসা জাগে
সুযোগে সোহাগে বেড়ে ওঠে গানে।
বিনম্র তোমার চোখের আবেশ
রাখিব এ মনের নিশীথ ছোঁয়ায়,
যেখানে আমি বাস করি একা
কালো আকাশের বুকে মেঘেদের ধোঁয়ায়।

Saturday, May 26, 2018

চলো পালিয়ে যাই - গান

একটা গান আছে তুমি গাইবে কি?
যতটা বলার বাকি তুমি শুনবে কি?
তোমাকে হঠাৎ চিঠি তুমি পড়বে কি?
শহরে মাতাল বৃষ্টি, বলো ভিজবে কি?

অচেনা নতুন শপথ চলো পালিয়ে যাই,
সেখানে তোমার আমার চলো ঘর সাজাই।
যেখানে ভাঙবে ভুল, পুরনো রোদের মাশুল
চলো সব ভুল ভেঙে আজ এগিয়ে যাই!

একটা বিকেল আঁধার ওড়ে জোনাকি,
সেখানে প্রেমের আলোয় ক্লান্ত ঝিঝি,
বিকেলে লালের আভায় প্রেম গুনবে কি?
হারানো অনেক স্বপ্ন, বলো দেখবে কি?

সময়ে সবাই হারি, কোনও পথ তো নাই,
এভাবে জেতার খেলায় মনে রঙ ওড়াই।
যেখানে অল্প খুব, তবুও আঁধার নামুক,
চলো জিতবো ভেবে আজ হাত মেলাই!

কবিতার লাশ

মাটির নীচে কবিতার লাশ খনির গর্ভে ভাঙে বিশ্বাস,
শ্রমিক শুধুই শব্দ খোঁড়ে, অনুভূতিরা এভাবেই মরে।
বিকেল ভরা শব্দ তালাশ আগুন জ্বালায় রক্ত পলাশ,
মৃত্যু হিসেব স্বাধীন ঝরে, আলোর জন্ম নতুন ভোরে।

Wednesday, May 23, 2018

নীরব প্রতিক্ষা

একজন নীরবে বাড়ে মনের গোপনে,
আঁচর কাটে কিছু অল্পবয়সী ঠিকানা
সে পথে প্রতিদিন পাল্টায় ধুলোর রঙ,
কি হবে মিথ্যে বলে, আমিও তো চাই।
বিরক্তির ভরবেগ বাড়ে অহেতুক আলাপে,
এড়িয়ে যাই অন্যায় এই আবদার এই মুহূর্ত,
সন্ধ্যার হাওয়া যদি তার নাম ধরে ডাকে,
ক্ষতি কি? আমি রাজি এই প্রহর গুনতে।
সিঁড়ি ভেঙে উঠে যাক তবে অভিমান
একা ছাদ বসে থাকে তাদের অপেক্ষায়,
কখন আসবে তুমি এ নীরব রাতের বুকে
আমিও জোনাকি সাজাই তোমার প্রতিক্ষায়।

Saturday, May 19, 2018

সন্ধ্যার মন

সন্ধ্যার ছাদে দক্ষিণা হাওয়ায় ক্লান্তিরা যায় মিশে,
কলম কাগজ সন্ধি বানায় কবিতাকে ভালোবেসে।
সেখানে তোমার অবাধ প্রবেশ সৈন্যরা পথ আঁকে,
অনুভূতি জমে মনের কোণায় তারারাও রাত মাপে।
উড়ো চিঠি জমে তোমার নামে ঠিকানা গোপন করে,
এভাবে কিছুটা মিথ্যা অবকাশে কবিতারা খসে পরে।
আমি জানি এসব নিছকই ভুলের মনমরা কিছু কথা,
শিরায় শিরায় শব্দেরা সাজে, ধমনীতে প্রেমের ব্যথা।

Friday, May 18, 2018

মন ঠিকানা

যদি কবিতারা কথা বলতে জানতো
তোমাকেই আটকাতো,
যদি প্রতিদিন ওরা আবেগে ভাসতো
তোমাকেই দোষ দিত।
তুমি জন্ম দিলে ওদের
আর শব্দ দিলে না,
কেন মন্ত্র দিলে ওদের
ভুল দিলে ঠিকানা,
তোমার মনের।

অকাল বৃষ্টি

ধুয়ে ফেলি যতো জমা কথা সব
অকালে বৃষ্টি তোকেই দিলাম,
নিলে ভালো এই মনের খবর
নইলে এ মন ফিরিয়ে নিলাম।
মেঘেদের বাড়ি ফুটপাথ জুড়ে
রোদ্দুর খোঁজে মুখে তোর নাম,
অকাল বৃষ্টির একলা ছাতায়
আশ্রয় খোঁজে ভেজা অভিমান।

Thursday, May 17, 2018

অভিমানী দর্পণ

নিঃসঙ্গতা বাড়ে, এখানে আমি নিতান্তই একা,
যেখানে আমায় সময় আমারই শব্দেতে আঁকা,
তুমি বোঝো না এই বোধন, এই নৈশব্দর আঁধার
আমি ফিরে যাই স্রোতে যেখানে স্মৃতির পাহাড়।
কখনও কি তুমি ছুঁয়ে দেখেছো এ মনের ব্যর্থতা,
যেখানে তুমিই বক্তা আর এই মনগুলো শ্রোতা।
নিজেকে প্রশ্ন ছুঁড়ো নিশীথে গোপনে আয়নায়,
কতটা সঠিক তুমি তোমার অভিমানী বায়নায়।

Tuesday, May 15, 2018

প্রেমিকার ক্যানভাস

তোকে ভালোবেসে অবহেলা যাকে
করেছি সেও তো ভালোবাসে,
আমিও জ্বলবো চোখের তারায়
সেই প্রেমিকার-ই ক‍্যানভাসে।

Saturday, May 12, 2018

সনাতনী চোখ

আমার শহরে ভালোবাসা নেই
বেঁচে আছে এক প্রকাণ্ড গাছ,
যার ছায়াতে অনুভূতি খোঁজে
অন্ধ মনের স্মৃতির কোলাজ।
বিকেল নামে হলুদ আলোয়
ফিকে হয়ে যায় তিলোত্তমা,
পাখির ডানায় কলরব ভাসে
আকাশ জুড়ে ভয়ের কণা।
আমার শহর অশ্লীল তাই
তরুন-তরুণী মার খেয়ে মরে,
দিনের আলোয় বাসের ভিতর
এ কোন সমাজ নিঃশ্বাস ছাড়ে?
সেখানে কোনও প্রতিবাদী নেই
সবাই ব্যস্ত নিজেদের কাজে,
এরাই আবার তর্জনী তোলে
প্রেমিকা ঘুমোলে প্রেমিকের কাঁধে।

মনের ভিতরে

এই রাতে কেবল বৃষ্টি পোশাকে
বাসিবো ভালো গোপনে তাহাকে,
যেই জন আমার মনের গভীরে
বাস করে একা অলীক শরীরে।
এই প্রেমে কোনও বিরক্তি নাই
আমি শুধু তাহাকে দু'চোখে হারাই,
তাহার চোখের হাসির পলকে
আমি বেঁচে থাকি বিচ্ছেদ যোগে।
মুখোমুখি হই কত কাছাকাছি
মনে ধরি তাহার আগোছালো হাসি,
একতরফা রোজ ভালোবাসা জমে
তাহাকে এঁকে রাখি মনের কলমে।

Friday, May 11, 2018

একলা শহর - গান

একলা শহর, একটা বছর
রাস্তা মোছে জটিল আঁচর,
কোথায় আমার ঘরের কোণে
একটা চিঠি একলা মনে
ভাঙছে বসে নবীন পাথর,
জ্বরের শীতে একলা চাদর
তোমার হাতের অপেক্ষাতে
কাঁদছে ভীষণ গভীর রাতে।

(Not the full version)

Thursday, May 10, 2018

অচেনার শহরে ডাকে

শহর ভেজা অহংকারে
মেঘের পালক আকাশ ছুঁয়ে,
কাঁচের স্মৃতির রেলিং বেয়ে
বৃষ্টি নামুক দুচোখ ধুয়ে।
এই শহরেই আসবো ফিরে
একলা রাতের গল্প নিয়ে,
মনখারাপের সপ্ত সুরে
গান সাজাবো তোমায় ঘিরে।

Monday, May 7, 2018

সময়ের এক্সিস

কীভাবে সময় পালিয়ে যায় রোজ,
যদি না X-এক্সিসে তাকে মুক্ত করি?
আমার সমস্ত প্রয়োজন Y-তে বন্দী,
সীমারেখা মেনে কাগজে গড়াগড়ি।
এই যে frequency বড্ড ছটফটে,
প্রত্যেক ঢেউয়ে অবাধ্যতার সারি,
যদি থমকে যায় সময়ের দৌরাত্ম্য,
তুমি কীভাবে ফিরে আসবে বাড়ি?
প্রত্যেক স্টেপে সময়ের অলীক ছোঁয়া,
বড্ড ভাবি, হয়তো ভীষণ আনকোরা,
যদি বাঁধা যেত সময় সুতোর ফাঁসিতে
তবে থেমে যেত চোখ তোমার হাসিতে।

Friday, May 4, 2018

কেন এতো গল্প লিখি রাতে - গান

শূন্যস্থানে বালি ওড়ে ওড়ে
এইখান থেকেই কাহিনীরা ঘোরে,
শব্দের দোষ থাকে আমি চলে যাই,
সন্ধ্যের আলো তোকে খুঁজে পাই
গলিমুখে অন্য প্রেমে ভেসে
তুই প্রেমিকের ঠোঁটে মুখে থাক।
আমি আছি আজও কাছাকাছি
নোনাজল সাগর মুগ্ধ হয়ে বাঁচি,
আলোছায়া মন ভাঙে রাতে হেঁটে যায়,
ঘুম চোখে পথিক পথে পথ হারায়,
চেনা পথে অন্য কোনও বেশে
এই অভিমানে রাত মুছে যাক।
আমি কেন এতো ঘুম সাজাই রাতে,
আমি কেন এতো গল্প লিখি হাতে!
তুই সব ভুলে যাস কীসের অজুহাতে,
আমি জেগে আছি আয় তোর আয়নাতে।


(Not the full version)

Wednesday, May 2, 2018

অমর কবিতা

কবিতারা অমর, শব্দের বৃষ্টিতে সুখী,
মেঘের পশমে রাতে প্রেম মুখোমুখি।

Tuesday, May 1, 2018

নদীর বুকে

কিছুটা সময় নদীর বুকে একলা মনে থাকি
সময় পেলেই ক্লান্ত হাতে তোরই ছবি আঁকি,
নৌকা পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে অন্য দিকে ঘুরে
জলের বিন্দু দুহাত ছুঁয়ে ভেসে যায় আরও দূরে।
আকাশ জুড়ে আলোর মায়া আবেগ বাড়ায় রোজ
আমার শহরে আলো চলাচল তোরই মনের খোঁজ,
শান্ত হাওয়ায় মুখ ফিরিয়ে বসে থাকি আমি রাতে
কথার শিকল উঠে যায় বেয়ে সময়ের অজুহাতে।