Monday, December 19, 2016

সুইচিং

সন্ধ্যা বেলার শান্ত গলি
গল্প শোনে চুপ করে,
দুইটি মানুষ পথ হেঁটে যায়
পাঁচিলগুলোকে ভাগ করে।
অন্ধ প্রেমিক ভাসলো জলে
বালিশ মোড়া রাত ঘুমে,
তার প্রেমিকার ঘুম জড়ালো
অন্য কারোর বেডরুমে।
রাতের আকাশ ক্লান্ত বড়োই
অনেক চোখের জল মুছে,
এমনি করেই প্রেম ভেঙে যায়
ভরসা করে চোখ বুজে।
তোমার আমার পুরনো কথা
পড়ছে মনে খুব ভোরে,
সময় পেলে এসো একদিন
হাঁটবো আবার হাত ধরে।

Wednesday, December 14, 2016

একটা শীত

বইছে দিনের আবছা রোদে উত্তরে হিম হাওয়া,
শান্ত জলের নীলের ভিড়ে লুকিয়ে শীতের ছায়া,
কলেজ মাঠের অল্প ঘাসে ব্রিজের পথে যাওয়া,
এই বছরের শ্রেষ্ঠ উপহার বন্ধু তোদের পাওয়া।

Sunday, December 11, 2016

সেই গাছ

গাছটা তোমায় ভরসা দিলো,
মাথার উপর ছায়াও দিলো,
বিয়ের সময় পালকি কিনে
সেই গাছেরই প্রানটা নিলে?

Saturday, December 10, 2016

প্রেমের শহর কলকাতা

আঁধার নামছে শহর জুড়ে
গলির মোড়ে ফুটপাথে,
জমছে ট্র্যাফিক রাস্তা ঘিরে
ক্লান্ত হাতের উত্তাপে।
আজব শহর আলোর মেলায়
পায়ের গুঁতোয় পথ চলা,
ক্লান্ত রাতে মাতছে খেলায়
প্রেমের শহর কলকাতা।

Thursday, December 8, 2016

বিকাল


বিকেলের রক্তমাখা সূর্য আঁধারে ডুব দেয়,
ব্যস্ত শহরের বুকে সন্ধ্যা নেমে যায় খুব,
ভাঙা রাস্তার পুরনো গলি নতুন প্রেম সাজায়,
জোনাকিরা আলো ছড়িয়ে দেয় অদ্ভুৎ।

জঙ্গল পেরিয়ে ভোর নামে ঘাসে জমা শিশিরে,
স্বপ্নের মায়াজাল ভেদ করে দেয় সকাল,
ঘুম চোখের মুখগুলো স্পষ্ট হয়ে যায় আলোর গভীরে,
সূর্যের রোদে পরাজিত আরেকটা রক্তাক্ত বিকাল।

Friday, December 2, 2016

সবুজের ভিড়

শীতমাখা দিনে রোদ গোনে প্রহর,
সবুজের ভিড়ে হিমে ভেজা শহর,
ঘুমে চোখ ভেজা ঘাসেদের গান,
শিশিরের গায়ে জমে অভিমান।

Wednesday, November 30, 2016

ঘুম বালিশ

বালিশের নীচে ঘুম জমে রাতে,
নৈশ্যতা ভাঙে অভিমান,
আধখোলা চোখে সেলফোন হাতে,
বিশ্বাসে বাড়ে ব্যবধান।

Monday, November 28, 2016

অভিমানী আলো

শুনলাম মাঝরাতে কিছু ভোরের আলো এসে দরজার কড়া নেড়ে চলে গেছে, সময় ওদের বাধা দিয়েছিলো। নাইট ল্যাম্পের উষ্ণতায় আমি চাদর জড়িয়ে ঘুমোতে ভালোবাসি। আলোগুলো অভিমান করে মিশে গেছে দিনের গভীরে।

Sunday, November 27, 2016

ঘুমের দেশ

তোর আঙুলে জড়িয়ে নিস আমায়,
ভেসে যাবো তোর স্বপ্নের প্রান্তরে,
ভালোবাসা লেগে থাক তোর জামায়,
থেকে যাবো তোর মনের অন্তরে।

Saturday, November 26, 2016

শহুরে প্রেম

এই শীতের কুয়াশা মাখা শহরটাতে প্রেম এখনও জীবন্ত,
বাতাসে কান পাতলে ভেসে আসে ভালোবাসার সুর,
মাথায় শূন্য আকাশ আর অভিমানী তারাদের কিছু মন্ত্র,
পাহাড়ের কোল বেয়ে প্রেম গড়িয়ে যায় অনেক দূর।

Monday, November 21, 2016

ছোট্ট প্রেম

রোদের প্রহর, ক্লান্ত নোঙর, ভিড় চোখে ভালো বাসছে,
চাঁদের আলোয়, শহর ঘুমোয়, শীতঘুমে প্রেম ডাকছে।

Nostalgia

You were not there for loving me,
but I was still there after knowing everything.
When the first time I heard about you,
it was painful to accept, but I had to.
The moments were frozen
and the love ruined in my heart.
Finally at a morning,
the blossom of love blasted out
with the sense of autumn
and the limitations gone by.
Now the memories are
floating on the screen
and nailing on my heart
with it's sharpen edges whether
the pixels're going to be blurred.


[Ignore the rhythm, everything is a poem with having the feelings.]

Sunday, November 20, 2016

প্রয়োজন

সবার চোখের ঘৃণায় ভাসলি,
আমার ভিতরে আদর মাখলি,
কল্পনাতে নালিশ করলি,
প্রয়োজন শেষ তাই পর ভাবলি?

Saturday, November 19, 2016

ব্যস্ততা

আবেগ মাখানো এক বিকেলের প্রান্তরে,
ফিরে গেছি আমি তোমার শব্দে স্নান করে,
আমার ভালোবাসা চাইনা, ওটা ফিরিয়ে নিও,
সম্ভব হলে একটা কবিতা উপহার দিও।

Friday, November 11, 2016

ভালোবাসা

ভালোবাসা মানে শীতকাল,
ভালোবাসা মানে নাম,
চিঠিরাও নেয় বিশ্রাম,
ভুলে যাই তোর নাম।

ভালোবাসা বাকি যতদূর যাবি
ভুলে যাবি অভিমান,
তারাদের আলো ছুঁয়ে দেখি ভালো
খুঁজে দেখি লেলিহান।

ঘুরে দেখি আমি বারবার,
হয়ে যাই আমি তার,
মিটে যায় সব আবদার,
লেগে থাকে নামে ধার।

আলো মাখামাখি আধঘুমে ছবি
ভিড়ে ঢেকে রাখি খাম,
গোলাপের কাঁটা হাতে লাল ব্যথা
সুরে বেঁধে রাখি গান।

Saturday, November 5, 2016

ফেরার পথে

অল্প আলোয় তোর গলিতেই লুকিয়ে আছি মুখ,
ফেরার পথে খুঁজছি আমি তোর হাসিতেই সুখ।
দিনের শেষে প্রাক্তন পথে তোর সামনে আসা,
শহরতলীর হারানো প্রেমে ক্লান্ত ভালোবাসা।

Friday, November 4, 2016

জমানো মেসেজ

হঠাৎ চোখে পড়ে যায়
আমাদের পুরনো কথোপকথন,
উষ্ণ প্রেমের মেজাজে
সমস্ত ভুল ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
ডিলিট করার অপশনটা অ্যাপেন্ডিক্সের মতো
পড়ে থাকে কথার গভীরতা ছাড়িয়ে।
আমাদের ভুলে ভর্তি অভিমান
সমুদ্রের ঢেউয়ে চড়ে ঘুরে যায় অতীতের দিনে,
যে স্মৃতি এখনও চোখে জল আনে দিনের ব্যস্ততায়।
আমি চাইলেই তো পারতাম
সেগুলো মুছে ফেলতে, তবু চেষ্টা করিনা কারণ 
কাজের ফাঁকে প্রেমের গন্ধ নিয়ে মাতাল হবো বলে।

কিছুটা গোপনীয়তা

তোর মেসেজের উষ্ণ প্রেমে ভাঙছে আমার ভুল,
ডিলিট করার অপশনটা কাড়ছে রাতের ঘুম।

যেগুলো মিথ্যা

শব্দের শেষে শীতের মোড়কে লুকিয়ে বিকেলের পরিচয়,
মুখের হাসিটা আসলে আমার একটা সাজানো অভিনয়।

Thursday, November 3, 2016

কবি

লেখক হতে ভাব লাগে না, লাগে না কোনো বর্ষা,
আমার মতে খাঁটি কিছু বাংলা শব্দই ভরসা।

সন্ধান

হালকা আদর, ঘুমের চাদর
স্বপ্নে ভাসো তুমিও,
ভিড়ের মাঝে, সুখের খোঁজে
বদলে গেছি আমিও।

Monday, October 31, 2016

প্রায়োরিটি

তোমার সময় হারিয়ে যায়, ক্ষীণ হয়ে যায় অবসরের স্মৃতি,
নতুনেরা এই ভিড়ে হাত বাড়ায়, কমে যায় আমার প্রায়োরিটি।

Saturday, October 29, 2016

আমার বদলে যাওয়া

তোর উঠোনে আলোর রঙ ছড়িয়ে থাক,
শুকনো দেওয়ালের গায়ে বারুদের গন্ধ মেখে
লিখে রাখা থাকুক আমার উৎসবের দিনগুলো,
আমার তো ফিরে আসার কথা ছিল
অন্য কোনও মনের সন্ধানে।
তবু জল গড়িয়ে মিশে যায় ঢুসরে,
সাদা কালো চোখে চশমার প্রয়োজন পড়ে,
আমার রাস্তা বদলে যায়
যেখানে তোর ছায়া ঘুরতে আসেনি কখনও
আমিও বদলে যেতে ভালোবাসি প্রতিটি ফোঁটায়।

Friday, October 28, 2016

ঠিকানা

তোমার আকাশে হারিয়ে গেছি, আমিও জানি নেই আমি,
তোমার বাতাসে স্বপ্ন বেচি, অন্য কোথাও যাও তুমি।

ফেরা

সাঁঝের আলোয় হাঁটবো আমি, তোর কথা আর মাখবো না,
অন্য পথে হাঁটবি জানি, তোর ঘুমে আর আসবো না।

অন্য আলো

আমার কথা তুই শুনবি কেন, আমার শব্দে সময় ক্ষয়,
তোর আকাশে অন্য আলো, সাজানো তোর অভিনয়।

ভাঙন

তোর চোখের নালিশ, ক্লান্ত বালিশ, আমার শরীর ভীষন জ্বর,
অভিমান খুব, শব্দের স্তূপ, ভাঙছে গড়ছে আমার ঘর।

Thursday, October 27, 2016

মিথ্যে

ছায়ার মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, তোর জানালার অন্ধকারে,
মিথ্যে শব্দ সত্যি সাজে, কথার ভিতর অহংকারে।
মিথ্যা যে তোর ঠোঁটের ডগায়, সত্যি কথার নিম্নস্বরে,
মাঝরাতে প্রেম আজও কাঁদায়, আসলি কেন আমার ঘরে?

Wednesday, October 26, 2016

অ্যালবাম

তোমার শহর থমকে আছে
ক্লান্ত ট্র্যাফিক, ভিড়-জ্যামে,
আমার স্মৃতি হারিয়ে গেছে
ভোর রাতের ওই অ্যালবামে।

Monday, October 24, 2016

কত ভালো হতো - গান

কত ভালো হতো যদি সব ভেঙে জুড়ে ফেলা যেত,
কত ভালো হতো যদি হাতে মুঠো রোদ ধরা যেত,
কত ভালো হতো যদি ভাঙা মেঘে ভেসে যাওয়া যেত,
কত ভালো হতো যদি সব গান বেঁধে ফেলা যেত,
যদি সব ভালো হয়ে যেত, আশাগুলো আশাহত, মেঘেরা ঘরে ফিরে যেত।
তবে সাঁঝবাতি নিভে যেত, তুলসীরও মাথা নত, গান বাঁধা কবে ঘুচে যেত।

কত ভালো হতো যদি ভাঙা ডালে হাসি ফিরে যেত,
কত ভালো হতো যদি এক ডাকে তোকে পাওয়া যেত,
কত ভালো হতো যদি সব ভুল মুছে ফেলা যেত,
কত ভালো হতো যদি মাঝরাতে ফিরে আসা যেত,
যদি সব ভালো হয়ে যেত, মন ছুঁয়ে কথা দিত, জোনাকির ঘর ভাঙা যেত।
তবে তারাদের রাগ হতো, সময়েরও দেখা হতো, তোকে নিয়ে ঘর বাঁধা যেত।

কত ভালো হতো, কত ভালো হতো, কত ভালো হতো, যদি সব কিছু ভুলে যাওয়া যেত।।

Sunday, October 16, 2016

একক

শীতের কামড় পড়ছে গায়ে শুষ্ক হাওয়ার ডাক,
বৃষ্টি নামলে সময় ভাঙলে কাঁদছে ঘুমের রাত।
একলা মনে ঠোঁটের কোনে জমছে শব্দের ঝাঁক,
সাঁঝের বন্দর হাঁটছে পায়ে, আকাশ করছে মাত।

Thursday, September 29, 2016

উড়ালপুলের পথে

নিঃস্ব ছায়ায় শুয়ে আছে পাখিদের কলরব,
ছাদহীন পিলার পড়ে থাকে রাস্তাঘাট জুড়ে,
শহরের পথ আঁকড়ে ল্যাম্পপোস্ট স্বপ্ন দেখে,
আকাশ ছুঁয়ে আলোকিত করে দেয় আমাদের রাস্তাঘাট।
পথ উঠে যায় মহাশূন্যের উদ্দেশ্যে
চোখ বড়ো বড়ো করে ছুটে যায় চাকার আওয়াজ,
একটা ব্যস্ত রাস্তা, পিলারের গল্প শোনে অন্ধ রাত্রি,
শিশির জমতে থাকে বিজলী বাতির কাঁচে,
ডুকরে কেঁদে ওঠে এই পথঘাটের ধুলো।
আমার হেঁটে যাওয়ায় মিশে যায় নিঃশব্দ কিছু ভুল,
নতুন গল্প সাজিয়ে শূন্যে পাড়ি দেয় একলা উড়ালপুল।

Monday, September 26, 2016

উৎকণ্ঠা

শীত জমে আছে ঘরের কোনে
গীটারের তারে কিংবা বয়সের ওজনে,
প্রশ্নের ভিড় জমে থাকে ক্লান্ত শরীরে
কুয়াশা বিরাজ করে আমাদের চারপাশ ঘিরে।

মাঝরাতে বৃষ্টিতে জল জমে
শহরের বুকে অথবা একলা মনে,
ইচ্ছেডানা উড়ে যায় আকাশের বুক চিঁরে
জ্যোৎস্না রাতে কিংবা জোনাকির ডানার গভীরে।

Sunday, September 18, 2016

মুদ্রিত ভবিষ্যৎ

একটা সময়ের খাঁচায় বন্দী তুমি,
মশারির মায়াজালে বেঁধে রেখেছ সমস্ত অভিমানী রাত।
ভাঁজ হওয়া কাগজে আমি শব্দ গুনি,
ছড়িয়ে যাওয়া পারদের কণায় মুদ্রিত তোমার ভবিষ্যৎ।

Sunday, August 21, 2016

সময়ের গতি

সেদিন সকালে সূর্য উঠেছিলো, সেই আলো আমার ঘুম কেড়েছিল। আজও ওঠে সেই একই সূর্য, একই ভাবে ঘুম ভাঙায় আমার। সেদিন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরেছিল, আজও তো একইভাবে ঘুরছে। সেদিন যে গাছের তলায় একা দাঁড়িয়েছিলাম, আজও সেখানে একইভাবে দাঁড়িয়ে আছি। পাশের পুকুরটায় স্পষ্ট আমার ছায়া, একটুও কম্পন নেই জলের। মাছগুলো হয়তো স্তব্ধ আজ। আশেপাশে সবকিছু চলমান, পরিবর্তনশীল। সময় আজ অনেকটা গড়িয়ে গেছে, ক্যালেন্ডারের পাতা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি হয়তো সেই দিনগুলোর। হঠাৎ খেয়াল করলাম আশেপাশের মানুষগুলো কেমন যেন বদলে গেছে, তারা আজ আমার কাছে প্রশ্ন তোলে বদলে যাওয়া নিয়ে। সময় হয়তো ওদের বদলেছে, ওরা বুঝে ওঠেনি, তাই ওদের মনে হয়েছে আমি বদলে গেছি। আমি কিন্তু আজও সেই পুকুরের ধারে গাছের তলাতেই দাঁড়িয়ে আছি আর ভেজা মাটির গন্ধে নিঃশ্বাস ছাড়ছি। ঘড়ির কাঁটা টিক টিক শব্দে এগিয়ে চলেছে।

Wednesday, August 17, 2016

অতীতের ডাক

একরাশ হতাশা ঘুরে বেড়ায় চোখে,
উড়োজাহাজের ডানায় ভেসে 
দূর দেশ থেকে চিঠি আসে,
তোমার বাক্যে মিশে থাকে 
কাগজের খামে খসে পড়া কিছু গুঁড়ো শব্দ।
আমি এতো কথা শুনতে চাই না,
ভিখিরির বেশে ঘুরে বেড়াই
তোমার প্রাসাদের আঙিনায়,
তোমার প্রতিটি পদধ্বনিতে
মিশে যায় আমার ভাঙা পাঁজরের শব্দ।
শিশিরের শব্দে ভিজে যায় মন,
শীতের দাপটে কুয়াশা নেমে
ঢেকে দেয় দূরের সমস্ত ফ্ল্যাশ লাইট,
মাঝরাতে ডিজেল ইঞ্জিনের শব্দে
বিছানায় আমি ঘুম ঢাকি।
পিলারের গা বেয়ে উঠে গেছে সবুজ ফার্ন,
জন্ম-মৃত্যু ভুলে দেওয়ালের ফাটল বেয়ে
অশ্বত্থের ডাল খুঁজে বেড়ায় সিলিং ছোঁওয়ার পথ,
আমি সিলিং ছুঁতে পারিনি
তাই মাটির দিকেই তাকিয়ে থাকি।

Tuesday, August 2, 2016

রাতের উষ্ণতা

রাত্রি ঘন হয়, সবদিক শান্ত হয়ে আসে,
পারদের দাগ কাঁচের দেওয়াল বেয়ে
একটু একটু করে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে যায়।
এই ভাল্লুক জ্বর ভীষন তেজী,
নিমেষে এই শরীরকে শান্ত করে দিতে পারে,
জলহাওয়া জানালার কাঁচের বাইরে শরীর ছোঁয়ার অপেক্ষায়।
পাখার ব্লেডের সঙ্গে মাথা প্রতিযোগীতায় নেমে পড়েছে,
সেলফোনের আলো চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে,
বেচারা কলমকে জোর করে নাকখত্ দিতে হয় সাদা কাগজে।
ক্লান্ত শরীর আরো ঝিমিয়ে পরে,
টাচ্ স্ক্রিনে আঙুল ঘষে ফোসকা পরে যাওয়ার ভয় লাগে,
উষ্ণতা ক্রমশ বাড়তে থাকলে চিন্তারা ঘুমিয়ে পড়ে স্থিতিশীল মগজে।

ক্যাপশন

নেশার বোতলে মৃত্যুর কাঁচ,
রাস্তা ঢাকে মোমবাতি।
কন্যা শিশুর ধর্ষনে আজ,
ক্যাপশন হয় ধার বাকি!

Friday, July 29, 2016

অবুঝ মন

চেহারার মোড়কে লুকনো একটা মানুষ,
তুমি তো চাওনি এই মনকে দেখতে?
কত প্রশ্ন জমে থাকে বইয়ের তাকে,
কখনও ভেবে দেখেছো এই মন কি চায়?
কত রাতে তোমার হুকুমে ক্লান্ত হয়েছে,
ঘুমিয়ে পড়েছে তবু তো কিছু বলেনি তোমায়!
প্রতিটি ভুলের মাঝে কে তোমার কপাল স্পর্শ করেছে,
এই মনকে ভালো লাগে না বলো আর?
একদিন নতুনের ভিড়ে খুঁজে নিও আমায়,
কত মুখ চেয়ে থাকবে তোমার চোখে
তবু তুমি খুঁজবে এই মনকে।
যাদের স্বার্থে বদলে যায় তোমার ভালোলাগা,
তারা কি তোমার স্বার্থে শেষ পরীক্ষায় ফেল করতে রাজি ছিল কোনোদিন?
প্রশ্নপত্র বড়োই কঠিন, এর উত্তর কারোর জানা নেই,
আমি যদি পরীক্ষক হই, নিজেও জানি না হয়তো।
প্রতিদিন মলাটের ভিড়ে নিলামে উঠছে তোমার শব্দের দাম,
ল্যাপটপ জানে কীবোর্ডে জমানো আমার এই অভিমান।

Thursday, July 21, 2016

ক্ষমা

সময় ভীষণ দুরন্ত,
আমরা সেই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে বেড়াই
দূর থেকে দেখি চিমনীতে ধোঁওয়া ওড়ে,
সেই ধোঁওয়ার আড়ালে কখন বিকেল কেটে রাত নামে বুঝে উঠি না।
তোমার চোখের পাতায় ভেসে বেড়ায় সময়ের ভেলা,
এতটাই গভীর ওই জল যে তাতে আমি স্নান করতে পারি,
কেন বলোনি আমাকে এই জলের রহস্য?
আমি প্রতিদিন বিক্রি হই মানুষের বাজারে,
তোমার হাতে থাকে রিভিউয়ের পেপার,
পছন্দ না হলেই বিকল্প খুঁজতে চাও কর্পোরেট দুনিয়াতে
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি ওদিকে।
আমার শরীরেও ক্লান্তি নামে,
অভিমান থাকে, রাগ থাকে, তবু লুকিয়ে রাখি ভিতরেই,
প্রকাশ করতে নেই আমার চেহারায়
আমার ব্যর্থতার সামনে আয়না ধরতে ঝুড়ি ভর্তি বিকল্প পাঠিয়ে দাও তুমি
বুকের ভিতরে হৃদপিন্ডটাকে ওরা হত্যা করতে চায়, ভীষন ব্যথা হয়
আমি তো তখনও রাগ করি না তোমার সামনে।
মানুষ মাত্রই ভুল হয়, ভুল তো তুমিও করো
ক্ষমা আমাকে করতে হয়।
কখনও রাত জেগে আমার বালিশ স্পর্শ করোনি,
ভুলের পাহাড় জমে থাকে তোমার উঠোনে
তবুও আমি সেই পাহাড় ডিঙিয়ে ছুটে যাই তোমাকে ভালবাসতে,
তাতে হয়তো আরও কিছু ভুল করে ফেলি আমি,
ক্ষমা যদি করতে না পারো তাহলে কেন ভালোবাসো আমায়?

Wednesday, July 20, 2016

শহুরে আঁধার

একটা রাত্রির আবির্ভাব,
ঘুম পাড়ানির শহরে একা জেগে থাকে নিয়ন আলো,
আবছা আলোয় জড়িয়ে যায় ফুটপাথের প্রেম।
একা মেয়েটার শরীরে দাগ কাটে সমাজের কালো,
আমার শহর কেবল চিৎকার করে বলে ASHAME .
অন্ধ রাতে পাগলী খোঁজে তার ফেলে আসা জীবনের ছোঁয়া,
আমরা বুঝি জীবন বলতে সুখে থাকার গেম।
নেশার গেলাসে পাগলীর আকাশ ঘনিয়ে ওঠে ধূসর রঙের ধোঁয়া,
আমার শহর কেবল চিৎকার করে বলে ASHAME .
রাত্রি শেষে সূর্য উঠলে ভোরের আলোয় সাজে নিয়নের ঘুম,
বাজারের ভিড়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে আমার শহর।
গোয়েন্দারা এখন তদন্ত করে পাগলীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি খুন,
ধর্ম আজকে যুদ্ধ করে ওর ঠাঁই শ্মশান নাকি কবর!

Friday, July 8, 2016

মনের বৃষ্টি

আমার মনের মাঝে বৃষ্টি নামে,
ক্লান্ত প্রেমের পুকুর।
তোমার প্রেমের তীক্ষ্ণ মানে,
বৃষ্টি ভেজা দুপুর।

Tuesday, July 5, 2016

আগামীর কথা

কোনোদিন কি আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল?
অবাধ্য পৃথিবী ঘুরেই চলে,
স্থান, কাল সব উল্টে পাল্টে মিলিয়ে দেয়।
সকাল থেকে রাত হওয়ার মাঝে তোমার শব্দগুলো আমার চামড়া ভেদ করে ঢুকে যায়,
ভীষণ যন্ত্রণা হয়,
সেদিন তো তুমি আমাকে বলোনি এতো কিছু,
প্রতিদিন কত নতুন সংখ্যার জন্ম হয় তোমার চোয়ালের প্রতিটি ওঠানামায়,
আমি এখনও শূন্যের পাঁচিল বেয়ে উঠে বেড়িয়ে আসতে পারি না।
রাত নামলে বিছানার সাথে জড়িয়ে যায় আমার ঘুম
চারিদিকে কত কাগজের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে,
হিসেব কিছুতেই মিলতে চায় না
কাগজের দৈর্ঘে ঢাকা পড়ে যায় আমার সমস্ত অভিমান, ভালোবাসা।
হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়,
দেওয়াল জুড়ে শুনতে পাই অতীতের চিৎকার,
সময়ের দেওয়ালে সব লেখা থাকে আগামীর কথা।

Saturday, July 2, 2016

ছোট্ট বিদায়

সমুদ্রের শেষ প্রান্তে রাঙা সূর্যের বিদায়,
অপেক্ষা একটি নতুন সূর্যোদয়
কিন্তু দুঃখের বিষয়,
জীবনের সূর্য একবারই উদিত হয়।

Saturday, June 25, 2016

মাটির পুতুল

অন্ধকারের ধোঁয়ায় মিশে যায় রাত
কলমের গলা শক্ত করে টিপে ধরে আমার আঙুল,
ঘুমের পাহাড়ে মিশে থাকে বিরহের ছাপ
রাতের আঁধারে শুয়ে কাঁদে তোমার মাটির ভাঙা পুতুল।

Monday, June 20, 2016

শূন্য অক্ষর

চিঠির খামে ভরে রাখি আমার সমস্ত অভিমান,
অক্ষর বয়ে বেড়ায় সেই অসীম শূন্যতা।
গীটারের তারে জন্ম নেয় নতুন সুরের অভিধান,
অবাধ্য আঙুল মেপে রাখে আমার প্রতিটি ব্যর্থতা।

Friday, June 17, 2016

মজার লেখা - সেমিস্টার

হাই হ্যালো, বাই বলো,
মাঝরাতে কথা বোলো,
ফোনটা রেখে বইটা খোলো,
সেমিস্টার তো এসে গেলো।
টর্ক দিলে বাড়াবাড়ি,
ফিল্ড খুললে মারামারি,
লোড নয় বেশী ভারী,
স্পিড মাপতে ভালোই পারি।
লেজারের জোড় বেশী,
বই খুললে পায় হাসি,
সিলেবাস রাশি রাশি,
পাশ করতে কষ্ট বেশী।
জল গড়ালেও মেকানিক্স,
এখানেও খেলছে ফিজিক্স,
গুনছি বসে সংজ্ঞার লিস্ট,
কম পেলেই লাইফ রিস্ক্।
এবার শোন ভাই আমার কথা,
অঙ্কে একটু মাথাটা খাটা,
ক্যালেন্ডারে ফর্মুলা সাঁটা,
পরীক্ষা যেন না হয় যা-তা।
কম্পিউটারটা ভীষন ভালো,
পেন কিনেছি পুরো কালো,
ফোনটা রেখে বইটা খোলো,
সেমিস্টার তো এসেই গেলো।

Sunday, June 5, 2016

কুয়াশা

একদিন সকালে খবরের কাগজের ভিড়ে তোমার দরজায় কড়া নাড়ল আমার মৃত্যুর খবর, অঝোরে বৃষ্টি নামলো। তোমার শরীরের ভাঁজে লেগে থাকা আমার সমস্ত জীবাশ্ম ধুয়ে দিয়ে গেলো এই বৃষ্টি। ঘন কুয়াশাতে ঢেকে দেয় সমস্ত দিক।

Saturday, June 4, 2016

অচেনা প্রশ্ন

একদিন আমার চোখের জলে হয়তো পুকুর ভাসবে, সেদিন আমার চোখে তুমি ভিজবে তো বলো?

একটি রক্তাক্ত বিকেল

একটি রক্তাক্ত বিকেল। সমুদ্রের ধারে এক কফিশপে বসে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে দুজন। কফি কাপের বাষ্পে আকাশের চশমার কাঁচ প্রায় ভিজে গেছে।
দূরে একটি মেয়ের দিকে তাকিয়ে অনিতা জিজ্ঞেস করলো "ওই মেয়েটি তোমার প্রাক্তন না?"
ক্ষণিকের নিস্তব্ধতা, তারপর আকাশ উত্তর দিলো "প্রাক্তন? প্রাক্তন বলে কিছু হয় নাকি! তুমি যা কিছু দেখছো আশেপাশে, এগুলো সবই আসলে তোমার বর্তমান, আর তার গায়ে লেগে থাকে ভবিষ্যতের ছোঁয়া। আমরা সেদিকেই এগিয়ে চলি যেদিকে ভবিষ্যতের সন্ধ্যাতারা আমাদেরকে পথ দেখায়। আর কি বললে তুমি, প্রাক্তন! আসলে যেগুলোকে তুমি প্রাক্তন বলো সেগুলো কোনোদিনই তোমার ছিল না, তুমি কেবল অভিনয় করেছিলে বা অন্য কারোর অভিনয়ে অংশ নিয়েছিলে। কিন্তু সেই অভিনয়কে কোনো এক সময় মিথ্যে প্রমাণিত করে দিয়ে গেছে সময়ের চিতা।"
এই বলে আকাশ তার চশমাটা খুলে টেবিলের উপর রাখলো আর এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলো দূর সমুদ্রের দিকে। ধীরে ধীরে রাতপাখিদের ডানার আড়ালে সন্ধ্যা নেমে এলো, আঁধারের সুবিশাল কারখানায় হারিয়ে গেলো দূরের সেই মেয়েটির মুখখানি। ফোনটা বেজে উঠলো আকাশের "ভালো আছি ভালো থেকো..."

Wednesday, June 1, 2016

বিরহ

তুমি জানো মাঝরাতে আমার আজকাল জ্বর আসে?
দিন শেষে আমার শরীরেও রাত হয়।
আমাদের বদলে যাওয়ার স্বপ্নগুলো এখনো আমার চোখে ভাসে,
সবই তো আসলে সাজানো একটা অভিনয়।

জলছবি

ক্লান্ত শরীরে আজ ক্ষীণ হয়ে আসে রোদ,
বিকেল নামলে শুরু সূর্যের অবরোধ...

Wednesday, May 11, 2016

স্বপ্নঘোর

মাঝ রাতে একা জেগে থাকে শত আশা নিয়ে বেঁচে থাকা দুই চোখ, কিছু বিষাক্ত পোকামাকড় স্বপ্নগুলোকে কুঁড়ে খেয়ে ফেলে আর চোখের কিনারে কিছু চোরাবালি ও নোনাজলের ছিটা দিয়ে চলে যায়।

ফিরে যাওয়া

মনের অস্তিত্ব মিলিয়ে গেছে ছায়াপথের ভিড়ে,
পরে আছে কেবল একলা এই শরীর।
দেখে এসো আমার চিতা জ্বলছে প্রানহীন কোন নদীর তীরে,
অন্ধকারটা আজ একটু বেশিই গভীর।

Monday, April 11, 2016

প্রাক্তন

পড়ার ব্যাচে এক কোনায় বসে যেদিন
প্রেমের সূত্রপাত,
প্রথম দেওয়া চিঠিটাও সেদিন
বদলায়নি কোন হাত।

ঘুমন্ত শহরের একলা রাতে
প্রেমের সাক্ষী ছিল দুটি টেলিফোন,
ফেলে আসা সেই সময়ের সাথে
সবকিছুই আজ প্রাক্তন।

ফুটপাথে হাঁটা ক্লান্ত বিকেলের যখন
বুক চিরে নেমে এসেছিল রাত,
জ্যোৎস্না আলোয় স্ট্রান্ডে বসে তখন
সযত্নে ধরেছিলাম তোর হাত।

একলা বিকেলে কবিতা লিখে
দিয়েছিলাম তোকে আমার মন,
কাগজের ভিড়ে কিছু প্রশ্ন রেখে
হয়ে গেছি আজ তোর প্রাক্তন।

Wednesday, March 23, 2016

রঙহীন বসন্ত

এই বসন্তের সমস্ত রঙ আমি শরীর থেকে ত্যাগ করে দিয়েছি অন্য স্বপ্নগুলোকে রঙিন করে তোলার জন্য। আজ থেকে প্রত্যেকের জীবনের মুহূর্তগুলো হয়ে উঠুক আরও বেশি রঙিন, আরও বেশি সুন্দর। কিন্তু এই বসন্ত আজ পারবে না আমাকে রঙিন করে তুলতে, কারণ আমার শরীরের গভীরে মিশে আছে অনেক ক্ষতচিহ্ন, অনেক কালো দাগ, সেই দাগ মুহূর্তে শুষে নেবে সমস্ত রঙকে আর উপহার হিসেবে আমাকে ফিরিয়ে দেবে এক শুষ্ক অনুভূতি। প্রতিটা হৃদস্পন্দনে আমার শরীর থেকে বেড়িয়ে আসবে উষ্ণ কিছু নিঃশ্বাস, যারা নিমেষে গ্রাস করে নিতে পারে রঙিন হাতের আদরে জড়ানো আদ্রতাকে। কালারব্লাইন্ড হয়ে চিনে নেবো সাদা আর কালোর দূরত্বকে, সময়ের ব্যাবধানে ধূসর কুয়াশা নেমে আসবে আমার জীবনে সেই দূরত্বকে মুছে ফেলার জন্য। এভাবেই রঙিন স্বপ্নগুলো ঢাকা পড়ে যাবে এক ধূসর চাদরের তলায়, আর প্রস্তুতি নেবে ভবিষ্যতের কোনও এক বসন্ত দিনে আরও একবার মাথা তুলে দাঁড়াবার জন্য। ততদিন আমার এই শরীর রঙহীন হয়ে থাকবে।

Sunday, February 14, 2016

প্রেমতরঙ্গ

এক কুয়াশা ভরা রাতের আলোয় বেড়িয়েছিলাম অসীমে মিলিয়ে যাওয়া পথগুলো হেঁটে দেখার জন্য, কানে হেডফোন লাগিয়ে একা মনে কবিতা বাঁধতে বাঁধতে এগিয়ে চলছিলাম। চারদিক থেকে অট্টহাস্যগুলো আমাকে চেপে ধরেছিল প্রায়, পথের বালি আর ইটের গুড়োগুলো আমার দিকে তাকিয়ে যেন হাসাহাসি করছিলো। প্রেম-ভালোবাসা বড়ই কঠিন একটা রোগ, জীবনে অনেকবার আসে, কিন্তু প্রতিবার যখন চলে যায়, রেখে যায় একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন। বছরের পর বছর কেটে যায়, তবু এই চিহ্নগুলো একটুও মেলায় না, কখনও  বা সময়ের ব্যাবধানে আরও গভীর হয়ে ওঠে। না পাওয়া চাহিদাগুলো আরও বেশি করে চেয়ে থাকে এক দৃষ্টিতে, জীবনের সমস্ত রক্তকোষে বিষিয়ে যায়। মানুষের বেঁচে থাকা হয়ে ওঠে আরও  কঠিন। অতীতের শব্দগুলো হানা দেয় আধঘুমে আচ্ছন্ন চোখের কোনায়, স্মৃতিগুলো প্রতি নিয়ত আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। না পাওয়ার ইচ্ছেটা বুকের ভিতরে ঢেউ তুলে দেয় আর সেই ঢেউ ধেয়ে আসে কোনও এক নিঃসঙ্গ নাবিকের দিকে। সবকিছু ছারখার করে চলে যায় আর রেখে যায় আরও একটা নতুন ক্ষতচিহ্ন। সেই চিহ্নগুলোর জ্বালা যন্ত্রণা নিজেকে সামলে উঠতে হয়, কখনও বা ঘুমহীন চোখে কবিতা হয়ে নেমে আসে মাঝরাতে। ধর্মবিজ্ঞানীরা মনে করেন সবই জন্মলগ্নে লেখা, কিন্তু আসলে এই মনই জানে এগুলো চোখের ভুল। সেদিন যদি চোখটা কল্পনা শক্তি দিয়ে না ভাবতো, তাহলে হয়তো এই মায়াবী সম্পর্কগুলো কখনই আকর্ষণ করতো না। তবুও এই পথ পরে থাকে সময়ের দূরবীন সঙ্গে নিয়ে, গতকাল আমরা যে পথে হেঁটেছি, আগামীকাল আমাদের জায়গায় নতুন কোনও যুগলকে দেখবে বলে। হয়তো আজকের মানুষগুলো আগামীকালও হাঁটবে ওই পথে, কিন্তু বদলে যাবে তাদের বন্ডিংগুলো। এভাবে কত ম্যাট্রিক্সের অঙ্ক কষে যায় এই পথ তার হিসেব রাখে নক্ষত্রকুঞ্জের প্রতিটি জ্যোতিষ্ক। আমরা কেবল সময়ের ঢেউয়ে ভেসে আসা অতীতের জীবাশ্ম মাত্র।

Monday, February 8, 2016

টুকরো সিরিজ - ১

আমার শরীরে যত খুশি আঘাত দিও, সব সামলে উঠবো। মনে আঘাত দিয়ো না, আমরণ সেই ব্যথায় ছটফট করে যেতে হবে আমাকে।

টুকরো সিরিজ - ২

যদি কখনো মনে করো আমার আড়ালে আকাশ ছোঁবে, ছুঁতে পারো। আমি প্রতারিত হতে রাজি, তবু বলবো শেষ মুহূর্তে ভেবে দেখো।

Sunday, February 7, 2016

চোরা স্রোত


এই নদীর স্রোত জানে আমার পথের চোরাবালিগুলি কোন সাগরের গহ্বরে লুকোনো আছে। যেখানে গাঙচিল ডানা মেলেছে ওই নীল আকাশ ছাড়িয়ে আর মেঘেদের কোলাহল ঢেকে দিয়েছে সূর্যের আলোকে, সেই অন্ধকারে নেমে এসেছে জোৎস্নার আলো। ক্লান্ত গাঙচিল এখনো ঘরে ফেরেনি......

রাত-বিরাতের অনুভূতি

এই রাতগুলো ভারী নিষ্ঠুর, ঘুমন্ত চোখের পাতায় স্বপ্ন এঁকে চলে যায় আর আলো ছড়িয়ে দেয় বাতাসের অজস্র ধুলিকনার শরীরে। সেগুলো তারা হয়ে ফুটে ওঠে আমার মাঝরাতের ক্যানভাসে, আর তুলি টেনে এঁকে ফেলি এক লম্বা ছায়াপথ।

Sunday, January 17, 2016

সুইসাইড - একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা ও বোকামির পরিচয়


ভীষণ আঘাত পাওয়ার পর একজন ঠিক করেছিল এভাবে আর বেঁচে থাকা যায় না, তাই মৃত্যুর আগে নিজের বেস্টফ্রেন্ডকে কিছু কথা শেয়ার করতে গিয়েছিলো কোনও এক বিকেলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সুইসাইড করে উঠতে পারেনি সে। তার বন্ধু সেই ডুবন্ত সূর্যের আবছা আলোর মধ্যেও তাকে চিনিয়ে দিয়েছিলো এই পৃথিবীর আসল রূপ।
- জানিস ভাই, আর কিছু ভালো লাগছে না।
- কেন রে? কি হল?
- আর বলিস না, রোজ একই ঝামেলা... আর ভালো লাগে বল!
- তাহলে, কি ভাবছিস এখন?
- ভাবছি আর বেঁচে থেকে লাভ নেই। সবকিছু ছেড়ে চলে যাবো। সবাই শান্তি পাবে তাহলে।
- কিসব বাজে বকিস! চুপ কর তো! এক চিন্তা বারবার। তুই মরলে কি হবে জানিস? এসব আর বলবি না একদম।
- কি আর হবে? সবাই শান্তি পাবে একটু। আমিও এতো কষ্ট পাবো না রোজ রোজ, সবাই ভালো থাকবে।
- তুই চুপ কর! শোন একটা কথা বলি...
- হুম বল।
- দেখ, তুই আজ মরবি ভাবছিস। তোর ধারণা তুই মরলে সবাই শান্তি পাবে। আসলে তুই চাস, ওরা তোকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছে তাই তুইও মরে ওদের বুঝিয়ে দিবি তোর অবদান কতটা। এটা তোর ধারণা, তাই তো?
- হুম রে, কি আর করবো বল। বেঁচে থেকে তো ওদের বোঝাতে পারলাম না, তাই মরে গিয়েই না হয় বুঝিয়ে দেবো রে...
- শোন, এই পৃথিবীতে কেউ কারোর নয়। আজ তুই মরবি ভাবছিস, মর। কালকে দেখবি সবাই খুব কাঁদবে। তোকে খুব মিস করবে। সপ্তাহ শেষে দেখবি সবাই সব ভুলে যাবে। তোর প্রেমিকা এক মাসের মাথায় নতুন প্রেমিক জুটিয়ে নেবে। তোর বাড়ির লোক দু-এক মাসের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে আর তোকে ভুলতে শুরু করবে। তোর বন্ধুরাও ঠিক একই ভাবে তোকে ভুলে যাবে। আসতে আসতে তোর বেঁচে থাকা জীবনের সব চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করবে সবাই। বছর ঘুরবে, তোর মৃত্যুদিন পালিত করবে সবাই। ফেসবুকে বড়ো বড়ো স্ট্যাটাস দেবে তোকে উৎসর্গ করে, কেউ কেউ প্রকাশ্যে চোখের জল মুছবে। কিন্তু বিশ্বাস কর, সেদিন আসলে সমাজটা একটা থিয়েটারে পরিনত হবে, চারপাশে যা কিছু দেখা যাবে সবই আসলে নাটক আর লোক দেখানো। আরও কয়েকটা বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখবি সবাই বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছে। তখন তোকে কেউ মনেও রাখেনি, তোর স্মৃতিগুলোতে ধুলো পড়ে সেগুলো পরিনত হচ্ছে ডাস্টবিনে। তোর নাম তখন সবার জীবনের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এভাবেই তোর সমস্ত কিছু মুছে যাবে এই পৃথিবী থেকে। তুইও সেদিন মিলিয়ে যাবি অনন্ত আকাশের কোনও একটা কোনায়। সেদিন যদি আকাশের তারা হয়ে এগুলো দেখতে পাস তাহলে তুই সব থেকে বেশি কষ্ট পাবি। হয়তো নিজেকে আরও বেশি করে অপরাধী মনে হবে তোর। তাই কি দরকার এভাবে নিজের বিলুপ্তি নিজে ডেকে এনে? বেঁচে থাক আর এই জীবনটা উপভোগ কর। জীবন তো একবারই আসে বল! এভাবে এটাকে নষ্ট করিস না, সবাই সফল হয় আর তুইও একদিন সফল হবি মিলিয়ে নিস। অনেক বড়ো বড়ো কথা বলে ফেললাম, আমার কথাগুলো একটু ভেবে দেখিস।
- না রে, তুই ঠিকই বলেছিস। মরে গেলে আর কেউই মনে রাখবে না, নিজেকেই কষ্ট দেওয়া। আমি বাঁচবো রে ভাই। নিজের জন্যই না হয় বাঁচবো।

বাস্তব অনুভূতি

প্রতিটি সফল মানুষের পিছনে কোনও নারী বা পুরুষ নয়, একটি ব্যর্থ প্রেমের ভূমিকা থাকে।

বেঁচে থাকা


আনমনা জাহাজ বন্দর ছুঁয়ে যায়,
সার্চলাইটের আলোয় উজ্জ্বল হয় সমুদ্রের রুপ।
আশাহত ওই রাতপাখিদের ব্যর্থ প্রানের কোনায়,
আকাশ চিনিয়েছে আমায় আগোছালো সুখ।

Thursday, January 14, 2016

ভিক্টোরিয়া

বিকেলের রোদ মেখে কত প্রেমিকের হাতের স্পর্শ জড়িয়ে যায় তার প্রেমিকার শরীরে, তার হিসাব রাখে এই মায়াবি উদ্যান। তারই মাঝে জেগে থাকে আমাদের আসা-যাওয়া।

Monday, January 11, 2016

দশ শব্দের লেখা

মৃত্যুর পর এক আত্মা চিঠি লিখেছিলো, ভালো আছি, ভালো থেকো।

Thursday, January 7, 2016

ছেড়ে যাওয়া বান্ধবীকে লেখা এক ব্যর্থ প্রেমিকের চিঠি

শোনো,
যে প্রেম আমার ছিল না, তাকেও খুব কাছ থেকে অনুভব করেছিলাম আমি। ছুঁয়ে দেখেছিলাম তোমার জরাক্রান্ত মনকে আর হৃদয়ের কাঁটাতার ভেদ করে তোমার গভীরে লিখে এসেছিলাম কিছু মূল্যবান শব্দ। যে রাতে তোমার শব্দরা খসে পড়েছিল আমার কবিতা লেখা খাতার ভাঁজে, তখনও অভিমানে অজস্র শব্দ দিয়ে তোমায় আঘাত হানিনি। সূর্যটা খুব নিষ্ঠুর, দিনের আলোয় আমার চোখের জল শুকিয়ে দেয়, কাঁদতে পারিনা। তুমি ভেবেছ হয়তো সবই আমার মিথ্যা অভিনয়, কিন্তু ভোররাতের জোনাকিরা আমাকে দেখেছে ভিজতে, তাদের আলোয় চিকমিক করে উঠেছিলো আমার শুকনো মুখটা। মনে পড়ে তোমার, একসাথে এক লেকের ধারে আমরা সূর্যাস্ত দেখেছিলাম? আজ থেকে অনেক বসন্ত পেড়িয়ে কোনও এক মৃত বিকেলে সমুদ্রের ধারে যখন ব্যালকনিতে কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়াবে, এই নিষ্ঠুর সূর্য তখন তোমায় মনে করিয়ে দেবে পুরনো সেই স্মৃতিগুলো। আলগোছে চুমুক দিতে গিয়ে ঠোঁটটা হয়তো পুড়িয়ে ফেলবে একটু, কিন্তু বুকের ভিতর তোমার শিরশিরানি ঢাকা দিয়ে দেবে সেই জ্বালাকে। তোমার বেডরুমের আয়না তোমাকে বারবার অপরাধী প্রমান করবে। সেই বিকেলে চোখ ভিজিয়ে ঝাপসা আলোয় দেখতে পাবে আমার অজস্র প্রতিচ্ছবি। খুশী থেকো তোমাকে এরকম একটা বিকেল উপহার দিলাম বলে।
                                                                             ইতি – তোমার এক ব্যর্থ প্রেমিক

Sunday, January 3, 2016

ঘুমরাতের বন্ধু



প্রিয়া,

আজও আবছা মনে আছে তোমার মুখটা তোমার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আমার স্বপ্নে, আর দেখা হয়েছিল ঘুম ভাঙ্গা চোখে। আমাদের বন্ধুত্বটা হয়তো স্থায়ী ছিল মাত্র দুই সপ্তাহ, কিন্তু তারই মাঝে তোমার আর আমার মধ্যে যে কথাগুলো হয়েছিল, সেগুলো আজও মনে রেখেছি আমি। তোমার কথা আজও ভাবি আমি, জানিনা কোথায় আছো। কিন্তু তোমার কথা ভেবে খুব কষ্ট হয় আমার, আমাদের মধ্যে এই দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার জন্য তো আমিই দায়ী। যেই রাতে তোমার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল আমার, মনে আছে সেদিন দুজনেই খুব কেঁদেছিলাম। তারপরেই রাতের আলো আধারের খেলায় কোথায় যেন মিলিয়ে গেলে তুমি। পরের দিন সকালে আর দেখা হল না আমাদের। সেদিন জানি অনেক কষ্ট পেয়েছ তুমি, আর আমি উপভোগ করেছিলাম বাড়ির পূজাটাকে। ভাবতে পারিনি এই পূজাটার মাধ্যমেই নিজের একজন ভালো বন্ধুকে হারাতে চলেছি আমি। পরে যখন রাতে শুয়ে শুয়ে ঘুম চোখে মনে পড়ল তোমার কথা, তখন জানি অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার জীবন থেকে বিদায় নিয়েছ তুমি তখন। চাইলেও আমরা আর কোনোদিন একে অপরকে দেখা দিতে পারব না। চোখের জলেই স্মৃতিচারণ করে নিজের ভুলটাকে শুধরে নিতে হবে বোধহয়। তোমাকে তো আমরাই বিদায় দিলাম, আসলে সমান্তরাল হলেও তোমার অস্তিত্বকে হয়তো আজও আমরা মেনে নিতে পারিনি এই জগতে। তোমার পুনর্জীবন লাভের কামনা করি।


                 ইতি – তোমার অর্ধমৃত সেই বন্ধু